জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যশোরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুর থেকে শহরের টাউন হল মাঠ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বাদ্যের তালে তালে শ্লোগান দিতে দিতে নেতাকর্মীরা র্যালিতে যোগ দেন।
নারীরা লাল-সবুজের শাড়ি, আর পুরুষেরা লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের ক্যাপ পরে অংশ নেন। হাতে ছিল জাতীয় পতাকা ও রঙিন প্ল্যাকার্ড। এতে পুরো শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। বিকেল সাড়ে ৫টায় টাউন হল মাঠ থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মনিহার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা যশোর শহর।
এর আগে টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, বিগত ১৭ বছরে বিএনপিকে নানা জুলুম, নির্যাতন ও দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে টিকে আছে, এবং আগামীতেও টিকে থাকবে। কারণ বিএনপির শক্তি হলো দেশের সাধারণ মানুষ। জনগণের ভালোবাসা ও আস্থাই বিএনপির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বর্তমান সরকারও উপলব্ধি করতে পেরেছে নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনোভাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য তারাও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করেছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী তা বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় গাছের চারা বিতরণ করা হয়, যা জেলা ছাত্রদলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শহরের নয়টি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোপণ করা হবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার ও বুধবার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নানা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।